www.chini24.online

www.chini24.online detailed reporting and presentation of information about current events, issues, or stories.

Subscribe Us

Saturday, 22 February 2025

মরুর বুকে স্মরণীয় পাঁচ দ্বৈরথ

 

শোয়েব মালিক

ভারত-পাকিস্তানের অবিস্মরণীয় কিছু ওয়ানডে লড়াই হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আশির দশকের শারজা থেকে হাল আমলের দুবাই ও আবুধাবির মতো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হৃদয় ভাঙার দৃশ্য থেকে শেষ বলের ফিনিশিং আর নায়কোচিত পারফরম্যান্স সবই মঞ্চস্থ হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের মরুর বুকে চিরবৈরী প্রতিবেশী দুদেশের তেমন সেরা পাঁচ লড়াইয়ে এবার চোখ রাখা যাক- ভারত-পাকিস্তানের অবিস্মরণীয় কিছু ওয়ানডে লড়াই হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আশির দশকের শারজা থেকে হাল আমলের দুবাই ও আবুধাবির মতো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হৃদয় ভাঙার দৃশ্য থেকে শেষ বলের ফিনিশিং আর নায়কোচিত পারফরম্যান্স সবই মঞ্চস্থ হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের মরুর বুকে চিরবৈরী প্রতিবেশী দুদেশের তেমন সেরা পাঁচ লড়াইয়ে এবার চোখ রাখা যাক-

রথম্যানস কাপ: ২২ মার্চ, ১৯৮৫, শারজা

ফল: ভারত ৩৮ রানে জয়ী।

লো স্কোরিং থ্রিলারই মঞ্চস্থ হয়েছে শারজার মাটিতে। ভারত দেখিয়েছিল অল্প পুঁজিও ডিফেন্ড করতে তাদের বোলিং ইউনিট কতটা দক্ষ ও সমর্থ। শারজার কঠিন পিচে ব্যাটিং করা ছিল যারপরনাই চ্যালেঞ্জিং। মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন ও কপিল দেবের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ৫০ ওভারে কোনোমতে ১২৫ রান সংগ্রহ করেছিল ভারত। বোলিংয়ে ঝড় তুলেছিলেন ইমরান খান (৬/১৪)। পরে কপিল দেব, লক্ষণ শিবরামকৃষ্ণন ও রবি শাস্ত্রীর স্মরণীয় বোলিংয়ে পাকিস্তান গুটিয়ে যায় ৮৭ রানে। ৩৮ রানে জেতে ভারত।

অস্ট্রাল-এশিয়া কাপ ফাইনাল : ১৮ এপ্রিল, ১৯৮৬, শারজা

ফল: পাকিস্তান ১ উইকেটে জয়ী।

ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট লড়াইকে যা কিছু বিশেষ মর্যাদা এনে দিয়েছে। রোমাঞ্চকর সব উপাদানই ছিল এ ম্যাচে। শুরুতে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রানের সংগ্রহ গড়ে ভারত। ব্যাটিং পাওয়ার দেখান সুনীল গাভাস্কার (৯২) ও কৃশ শ্রীকান্ত (৭৫)। জাভেদ মিয়াঁদাদের হার না মানা ১১৬ রানের ইনিংসের সুবাদে ১ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় পাকিস্তান।

উইলস ট্রফি : ২৩ অক্টোবর, ১৯৯১, শারজা

ফল : পাকিস্তান ৪ রানে জয়ী

আরো একটি রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে মাত্র ৪ রানে জয় ছিনিয়ে নেয় পাকিস্তান। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৫৭ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। সাহসী ব্যাটিংয়ে ঝলক দেখান আমির সোহেল (৯১) ও ইমরান খান (৪৩)। রবি শাস্ত্রীর ৭৭ ও শচিনের ৪৯ রানের ইনিংসের পরও ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রানে থেমে যায় ভারত।

পেপসি শারজা কাপ : ১৫ এপ্রিল, ১৯৯৬, শারজা

ফল : ভারত ২৮ রানে জয়ী।

শারজার মাটিতে এ ম্যাচের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের আধিপত্যের অবসান ঘটে। ভারতের ব্যাটিং তারকা এ ম্যাচে জ্বলে উঠেছিলেন নিজ নিজ মহিমায়। দ্বিতীয় উইকেটে শচিন টেন্ডুলকার (১১৮) ও নভজ্যোত সিং সিধু (১০১) ২৩১ রানের দুরন্ত পার্টনারশিপ গড়েছিলেন। ওয়াকার ইউনিস, সাকলাইন মুশতাক ও আকিব জাভেদদের বিপক্ষেও ৫ উইকেটে ৩০৫ রান সংগ্রহ করেছিল ভারত। জবাবে আমির সোহেল (৭৮) ও রশিদ লতিফ (৫০) ফিফটি হাঁকালেও ২৭৭ রানেই শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের ব্যাটিং লড়াই।

ডিএলএফ কাপ : ১৯ এপ্রিল, ২০০৬, আবুধাবি

ফল : ভারত ৫১ রানে জয়ী।

চ্যারিটি ম্যাচ হলেও ইরফান পাঠানের দুর্দান্ত ওপেনিং স্পেল স্মরণীয় হয়ে আছে। সুইং বোলিংয়ে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে শহিদ আফ্রিদি ও ইমরান ফারহাতের উইকেট ফেলে দিয়েছিলেন ভারতীয় পেসার। রাহুল দ্রাবিড় (৯২), বীরেন্দ্র শেবাগ (৭৩) ও এমএস ধোনির (৫৯) দাপুটে ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে ২৬৯ রানের পুঁজি পেয়েছিল ভারত। ব্যাটিংয়ে ইনজামাম-উল-হক (৭৯) ও শোয়েব মালিক (৪৫) ঝলক দেখালেও পাকিস্তান অলআউট হয়ে যায় ২১৮ রানে।

No comments:

Post a Comment

Powered by Blogger.

Search This Blog

About Us

About Us
Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry. Lorem Ipsum has been the industry's.

Editors Choice

3/recent/post-list