
নিউজিল্যান্ডের কাছে হার দিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু করে পাকিস্তান। করাচির পর দুবাইয়েও ফল বদলায়নি। গত রোববার ভারতের কাছেও ধসে গেছে মোহাম্মদ রিজওয়ানরা। চির বৈরী প্রতিবেশীর বিপক্ষে মাঠের লড়াইটাই জমিয়ে তুলতে পারেনি। শারীরিক ভাষায় তার কোনো লক্ষণও ছিল না।
তবে টানা দুই জয়ে সেমিফাইনালে নাম লিখে ফেলেছেন রোহিত শর্মারা। বিপরীতে পাকিস্তান হাঁটছে উল্টো পথে। টানা হারে ওয়ানডের বৈশ্বিক আসর থেকে বিদায়ের দুয়ারে এখন তারা। অথচ পাকিস্তান টুর্নামেন্টের মূল আয়োজক। ঘরের মাঠে দারুণ কিছু করবে- এমনটাই প্রত্যাশা ছিল দেশটির সাবেক ক্রিকেটারদের। কিন্তু তেমনটা না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা।
পাকিস্তান আটকে পড়েছে হারের বৃত্তে। ব্যাপারটা মানতে পারছেন না ওয়াসিম আকরাম। দলে পরিবর্তন আনতে পিসিবিকে ‘সাহসী পদক্ষেপ’ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন পাকিস্তানের এ ক্রিকেট লিজেন্ড, ‘আসলে এ ধরনের হারের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। হয়েছে, যথেষ্ট হয়েছে। আমরা গত দুই বছর ধরে এই খেলোয়াড়দের নিয়ে হেরেই চলেছি। এখন সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে।’
নতুন আর অকুতোভয় খেলোয়াড়দের নিয়ে দল গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন আকরাম। ইউটিউব চ্যানেল স্পোর্টস সেন্ট্রালের ড্রেসিংরুম অনুষ্ঠানে এই ক্রিকেট গ্রেট বলেন, ‘আপনাকে তরুণ ও ভয়ডরহীন ক্রিকেটারদের নিতে হবে। দলে যদি পাঁচ-ছয়টা পরিবর্তন আনতে হয়, তাহলে সেটাই করুন। কোনো সমস্যা নেই। তাদের ছয় মাস সময় দিন ও সমর্থন করুন। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল এখন থেকেই প্রস্তুত করতে শুরু করুন। ওদের (বর্তমান দলের খেলোয়াড়দের) আমার দেখা হয়ে গেছে। ওরা অনেক সুযোগ পেয়েছে।’
পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্টকে কাঠগড়ায় তুলেছেন শোয়েব আখতার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক ভিডিওবার্তায় রাজ্যের হতাশা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মোটেও হতাশ নই। কারণ, আমি জানতাম (ম্যাচের ফল) কী হবে। পুরো বিশ্ব ছয় বোলার নিয়ে খেলছে আর তোমরা (পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট) পাঁচ বোলার একাদশে রাখতে পারলে না... তোমরা দুই অলরাউন্ডার নিয়ে খেলতে নামলে। এটা পুরোপুরি নির্বোধ ম্যানেজমেন্ট, এদের কোনো ধারণাই নেই।’
ভারতের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণের জন্য পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের দোষ দিচ্ছেন না সাবেক এই পেসার। ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’-খ্যাত শোয়েব বলেন, ‘বাচ্চাদের (খেলোয়াড়দের) আমি দোষারোপ করতে পারি না। তারা এই ম্যানেজমেন্টের মতোই। জানে না, তাদের কী করতে হবে। ইনটেন্ট একটি ভিন্ন জিনিস। ওদের রোহিত (শর্মা), বিরাট (কোহলি), শুবমানের (গিল) মতো দক্ষতা নেই। সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছাড়াই তারা খেলতে নেমেছে। কেউ জানে না, তাদের কী করা উচিত।’
No comments:
Post a Comment